https://violationsyllable.com/ec3u7u66?key=c389a1b715c490a522182fbe95882438
“শেষ চিঠি”
রাতটা ছিল অদ্ভুত নীরব। জানালা দিয়ে ঢুকে আসা ঠান্ডা বাতাসটাও যেন আজ কাঁদছিল। অর্ণব টেবিলের ওপর রাখা পুরনো কাঠের বাক্সটা খুলে দেখল—সেখানে এখনো আছে সেই হাতের লেখা চিঠিগুলো… আর শেষ চিঠিটা, যা সে কখনো খোলেনি।
চার বছর আগে তানিশা চলে গিয়েছিল—না, মৃত্যুর জন্য নয়… বরং দূরত্বের দেয়াল আর ভুল বোঝাবুঝির কারণে। তবুও তানিশা বলেছিল,
“আমি শেষবার তোমার জন্য একটা চিঠি রেখে যাচ্ছি। যেদিন মনে হবে তুমি ভেঙে পড়েছ… সেদিনটাই খুলবে।”
আজ অর্ণব নিজেকে ভাঙা কাঁচের মতো লাগছিল। তাই সে চিঠিটা হাতে নিল। কাঁপা হাত, দ্রুত ধুকধুক করা হৃদয়।
চিঠিটা খুলতেই তানিশার পরিচিত সুগন্ধ বেরিয়ে এল—যেন সময় পেছনে ফিরে গেল।
https://violationsyllable.com/ec3u7u66?key=c389a1b715c490a522182fbe95882438
চিঠিতে লেখা ছিল—
“অর্ণব,
আমি জানি আমরা দু’জনেই ভুল করেছি। কিন্তু মনে রেখো, ভালোবাসা শেষ হয় না—সে শুধু রূপ বদলায়। যদি কোনোদিন তুমি একা বোধ করো, মনে করবে আজও আমি তোমার পাশে আছি। তুমি আমার স্মৃতিতে বেঁচে আছো… আর আমি বেঁচে থাকতে চাই তোমার হাসিতে।”
চিঠির শেষে একটা লাইন—
“তুমি সুখী হলে আমার প্রার্থনা পূরণ হবে।”
চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে গেল। অর্ণব জানত—মানুষ হয়তো পাশে থাকে না… কিন্তু তাদের ভালোবাসা সময়ের ভাঁজে কোথাও চিরকাল থেকে যায়।
সেদিন প্রথমবার অর্ণব বুঝল—
কাউকে হারানো মানে তাকে ভুলে যাওয়া নয়… বরং তাকে বাঁচিয়ে রাখা নিজের ভেতরের নীরব ভালোবাসায়।
No comments:
Post a Comment